নীরাম্মা
ব্র তী মু খো পা ধ্যা য়
ব্র তী মু খো পা ধ্যা য়
সন্ধেসন্ধে।
চক্কোত্তি একলাই ছিল। দরজা খুলতেই একমুখ হাসি নিয়ে নীরাম্মা।
নীরাম্মা
তাকে তাকে ছিল। চক্কোত্তিকে একলা কবে পাওয়া যায়। চক্কোত্তি রেলে চাকরি করে। এক
ছেলে, এক মেয়ে। দুজনেই ডাক্তারি পড়ে। বউ মাঝেমধ্যেই বাপের বাড়ি চলে যায়। সেসময়
ভদ্রলোক কাগজ পড়ে, গান শোনে, টিভি দেখে, আর ইয়ারবন্ধুদের নিয়ে এক আধদিন বোতল খুলে
বসে।
আয়।
ভেতরে আয়।
চক্কোত্তি
দামি লুঙ্গি পরে। বিশাল উদলা ভুঁড়ি। পাখা চলছে ফুল
স্পিডে। দেয়ালে বত্রিশ ইঞ্চির টিভি। টিভিতে ইংরেজি সিনেমা। চক্কোত্তি ভলিউম একটু কমিয়ে ইজিচেয়ারে বসতে বসতেই বলল --- বোস।
নীরাম্মা
দাঁড়িয়ে থাকে।
- বল
কি বলবি ।
নীরাম্মার
দাঁত দেখা গেল। সে হাসে।
- কি
বলতে এলি বল।
-
রাজনি আসবে না। কাল থেকে।
- কেন
? কি হল ?
- আসতে
চাইছে না।
- আসতে
চাইছে না ? এতগুলো টাকা আমার মতো আর কেউ দেবে ?
- জিদ
করছে।
- কাজ
না করলে তোদের চলবে ?
- কাজ
করবে। ঘরের কাছে। আমি যাদের বাড়ি কাজ করি, সেখানে।
- অ। এই কথাই বলতে এলি ?
-
আমাকে তুমি রাখো। আমি এখানে কাজ করব।
- তুই!
বয়েস হল না ? পারবি ?
- সব
পারি। তুমি যেমন যেমন বলবে, সব, সব করব।
-
রাজনি আসবে না ?
-
বাচ্ছা মেয়ে। ভয় পাচ্ছে।
-
চক্কোত্তিকে ভয় পাচ্ছে ?
-
রাজনি যেখানে কাজ নিচ্ছে সে বাড়িতে কি চক্কোত্তি নেই ?
0 comments:
Post a Comment